কমছে নদীর পানি, বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর
কমতে শুরু করেছে নদীর পানি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কমতে শুরু করেছে নদীর পানি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা চারদিনের বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে রংপুরের নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যহত ছিল। তবে শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল থেকে তিস্তা, ঘাঘট, যমুনেশ্বরী নদীর নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্লাবিত গ্রামগুলোতে পানি কমতে শুরু করেছে। এতে কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি থাকা মানুষগুলোর মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরছে। তবে নুতন করে তৈরি হয়েছে নদীপাড়ের ভাঙন আতঙ্ক।

শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরে তিস্তা নদী বেষ্টিত রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, পানি কমতে শুরু করেছে। বিশেষ করে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর পানি নেমে গেছে। এতে করে গেল কয়েকদিনের দুর্ভোগ কমতে শুরু হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/12/1562938639406.jpg

কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের বিশ্বনাথ, চরগনাই, হয়বৎখা, বালাপাড়া ইউনিয়নের ঢুষমারাসহ বেশকিছু গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার গত কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি ছিলেন। এসব গ্রামে গেল সোমবার থেকে বৃহস্পতিবারের অব্যহত বর্ষণে আবাদি জমি, গাছপালা ও ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যায়।
বসতভিটে হারানোর ভয়ে অনেকেই নিরাপদ আশ্রয় স্থলে চলে গেছেন। তবে শুক্রবার পানি কমতে শুরু করায় নদীপাড়ের মানুষদের চোখে মুখে স্বস্তির ছাপ দেখা যায়। তবে পানি কমায় নদীর আগ্রাসী ভাঙন ভীতি বিরাজ করছে।

অপরদিকে, গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের শংকরদহ, চর পূর্ব ইছলি, পশ্চিম ইছলি, কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল, চর মুটুরকপুর, নোহালী ইউনিয়নের বাঘডোহরা, চর নোহালী, কচুয়া এলাকার কয়েকশ পরিবার পানিবন্দি ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে এসব গ্রামের পানি কমতে শুরু করেছে। তবে ইছলি-বাগেরহাট সড়কের ইছলি সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

চর পূর্ব ইছলি গ্রামের কৃষক আজিজুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘নদীতে পানি এই বাড়ে, আবার কমে। গতরাতে বেশি ছিল, আজ সকাল থেকে পানি নামতে শুরু হয়েছে। আমাদের গ্রামের পানি কমে গেছে। এখন জমির ফসল, ক্ষেত দেখা যাচ্ছে। তবে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদীর দু’পাড় বিশেষ করে চরাঞ্চলে ভাঙন ঝুঁকি রয়েছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/12/1562938664025.jpg

স্থানীয় বর্গাচাষী আব্দুল মতিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘নদীর স্বভাবই হলো ভাঙা-গড়া। এ কারণে অতি বৃষ্টি আর বন্যা হলে আমাদের বুক কাঁপে। কখন কার ঘরবাড়ি-বসত ভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়। পানি কমতে শুরু করেছে। এখন স্বাভাবিকভাবেই নদী ভাঙন শুরু হবে। প্রতিবছর সরকার ভাঙন রোধে কাজ করে। কিন্তু ভাঙন রোধে স্থায়ী কোনো সমাধান হয় না।’

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, ‘কিছু জায়গায় পানি কমেছে। যদিও এটা স্থায়ী হবার সম্ভাবনা নেই। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে কয়েক জায়গাতে পানি কমেছে, আবার রাতে বেড়েছে। আজ (শুক্রবার) সকাল পর্যন্ত গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়াতে পানি কিছুটা কমেছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/12/1562938681846.jpg

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে নদী ভাঙন রোধে কাজ করছি। লক্ষাটারী ইউনিয়নসহ বেশ কিছু এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করেছি। এ কারণে বিগত সময়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো এখন ঝুঁকিমুক্ত। তারপরও খোঁজখবর রাখা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে।’

   

ময়মনসিংহে পুকুরের ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার পরানগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রীগলদি গ্রামের মো. কামাল মিয়ার শিশু দুই ছেলে ওমর ফারুক (১০) ও আবু বক্কর (৭)।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৫টার দিকে নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের শিমুল তলি মোড় নামক স্থানের একটি পুকুরে এই ঘটনা ঘটে।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মো. কামাল সদর উপজেলার পরানগঞ্জ শ্রীগলদি গ্রামের বাসিন্দা। কিন্তু মো. কামাল মিয়া গত ১০/১২ বছর যাবত স্বপরিবারে নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে গোদারাঘাট এলাকার বিল্লাল ডাক্তারের বাড়িতে বাসায় বসবাস করে আসছেন। কামাল মিয়া পেশায় ভ্যান চালক, তার স্ত্রী অন্যের বাসায় কাজ করেন।

ঘটনার দিন সকালে কামাল ও তার স্ত্রী সন্তানদের বাসায় রেখে কাজ করতে চলে যায়। দুপুরের দিকে দুই শিশু খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে যায়। কিন্তু কখন ঘুম থেকে উঠে বাইরে বেরিয়ে যায়, বিষয়টি বাড়ির অন্য কেউ টের পায়নি। এদিকে দুপুর গড়িয়ে বিকাল হলেও বাড়িতে না ফেরায় প্রতিবেশিরা তাদের দেখতে না পেরে খোঁজাখুজি শুরু করে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায় শিমুলতলি মোড়ের একটি পুকুরে ছোট ছেলে আবু বকরকে ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আবু বকরকে উদ্ধারের আধাঘণ্টা পর একই পুকুর থেকে ওমর ফারুককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। এদিকে, আবু বকরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মাইন উদ্দিন বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস, ৬ জেলায় সতর্কসংকেত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামসহ দেশের ৬ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

;

সাবেক এমপি বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী ও টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম জমায়েতের সামনে গিয়ে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) রাতে টেকনাফের হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নুরুল আলম চেয়ারম্যান বলেন, আমার আজ কম্বোনিয়া পাড়া, হোয়াইক্ষ্যং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ায় মুরুব্বি ও মেম্বারদের সঙ্গে একটি আলোচনা সভা ছিল। সেখানে হঠাৎ সাবেক এমপি বদি ও জাফর চেয়ারম্যানসহ ২০-৩০ জন লোক আমাদের পাশে এসে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে।

আব্দুর রহমান বদি নিজেই তার পিস্তল দিয়ে গুলি করেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম। তিনি বলেন, আমি এখন বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে যাচ্ছি।

এই বিষয়ে জানতে সাবেক এমপি বদির মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে যার সঙ্গে থেকে আব্দুর রহমান বদি গুলি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সেই প্রার্থী জাফর আলমের সাথে কথা হয় মোবাইল ফোনে। তিনি জানান, বদি ভাই আমার সাথে ছিলো। এ ধরণের কিছু হয়নি। তার (নুরুল আলম) ভাই নুরুল বশর জাতীয় নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে বদি ভাইয়ের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছেন। এটিও এমন একটি কুৎসা বলে জানান জাফর আলম।

;

আটোয়ারীতে নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের প্রচারণাকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে পাল্টা-পাল্টি হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১ মে) জেলার আটোয়ারী উপজেলার ধামোর হাটে এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধায় একই বাজারে পাশাপাশি অবস্থিত মোটরসাইকেল মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম ও ঘোড়া মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিছুর রহমানের নির্বাচনী ক্যাম্পে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মাঝে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এর পর আবারও বৃহস্পতিবার রাতে বিরোধে জড়ান তারা।

মোটরসাইকেল মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে নিজেদের ক্যাম্পে অগ্নি সংযোগ করেছে তারা। এর আগে আমার কর্মী-সমর্থকেরা প্রচারণা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় তারা তাদের গতিরোধ করে হামলা ও মারধর করে। এর মাঝে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেদের ক্যাম্পে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। একই সাথে তারা আমাদের ক্যাম্পে এসে হামলা ও মারধর করে।

ঘোড়া মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিছুর রহমান বলেন, ধামোর ইউনিয়নে প্রায় ৯০ শতাংশ লোক আমার সমর্থক। আমার প্রতিপক্ষ মোটরসাইকেল, তারা বেশ কয়েকদিন ধরে সেখানে ঢুকার চেষ্টা করছে। বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে নিয়ে গিয়ে আমাদের ক্যাম্প ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এলাকার মানুষ ও সাধারণ ভোটার তাদের ঘেরাও করে আটক করে রাখে। বিষয়টি জানতে পেরে প্রশাসনকে অবগত করি। প্রশাসন ঘটনাস্থলে গেলে তারা একটি আপোষনামা দিলে সকলেই চলে যায়। আমরা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে কোন অভিযোগ দায়ের করিনি।

আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন রহমান বলেন, ঘটনা জানার পরেই ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে পুলিশসহ সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। উভয় পক্ষে এ ঘটনায় কোন মামলা করবে না বলে সহকারী রিটার্টিং অফিসার বরাবর একটি আবেদন দাখিল করে। এসময় সবাইকে সতর্ক করা হয়।

;